সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের অবৈধ নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
সাথী সুলতানা,,,,,,,
সিরাজগঞ্জ জজ আদালতে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেই নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। এতে অংশ নেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক আইনজীবীরাও।বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালত চত্বরে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ, হারুন অর রশিদ খান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক রফিক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজেশ, জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম দুলাল, এ্যাড. ইন্দ্রজিত সাহা, শহর বিএনপির সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল জোয়ারাদ্দার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামএ সময় বক্তারা বলেন, পরীক্ষার হলে পরীক্ষা না নিয়ে নিয়োগ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকরা নিজেদের খাসকামরায় পছন্দের পরীক্ষার্থীদের বসিয়ে ‘গোপন পরীক্ষা’ নিয়েছিলেন। সেই ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা প্রার্থীদের অগ্রধিকার দিয়ে কারচুপির মাধ্যমে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা নিয়ে এখন প্রতিবেদন করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাত ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কশবা উপজেলার রয়েছে ২২ জন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলা ছিল। কিন্তু পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রার্থীরা যাতে বেশি নম্বর পেতে পারেন সেজন্য বিচারকদের খাসকামরায় বসিয়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ক্ষমতার বলে এই দুর্নীতির নেপথ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তৎকালীন আইন সচিব ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজের হাত রয়েছে বলেও উল্লেখ্য করেন বক্তারা।এসময় তারা দ্রুত এই নিয়োগ বাতিলসহ বর্তমান জেলা ও দায়রা জজের পদত্যাগ দাবি করেন। এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা।