সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
মনিরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়ন ঐতিহ্যবাহী সমেশপুর সহ সারা জেলার হাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশু গরু-ছাগলের ক্রয় বিক্রয়। সোমবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নসিমন ও বডবডি গাড়ী যোগে আসতে শুরু করে কুরবানির পশু।হাটে এসেছে জায়েদ খাঁন, সাকিব খাঁন, নেইমার, মেসি, পুতিন, হিরো আলম, ক্যাপ্টেন খানঁ, ব্ল্যাক ডায়মন্ড, ডাক্তার, নিরব, রাজাবাবু, কালাপাহাড়, লালুখাঁ, টাইগার, ড্রনালট্রাম্প সহ বাহারি নামের বিভিন্ন রং এর গরু।
অতি যত্নে পালিত পশু গুলোকে ভালবেসে গামছা দিয়ে মুছে দিচ্ছে, প্রচন্ড তাপমাত্রা থাকায় ছাতা দিয়ে কেউবা ত্রিফল টানিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করেছে। পশুগুলো বিক্রি শেষে বিদায় বেলায় পশুর চোখে অশ্রু, অন্যদিকে পশুর মালিকের চোখেও অশ্রু ভরা চোখ দেখা যায়, কেউ কাউকে ছারতে চাচ্ছে না, কিন্ত কি আর করার প্রয়োজনের কাছে ছাড়তে তো হবেই, এরকম মায়াবী দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল যেন টাকার কাছে ভালবাসার প্রিয় প্রাণীটা বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম মণে ১০ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। গরু বাজেটের মধ্যে মেলানো কঠিন হয়ে পরেছে,
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের অতিরিক্ত দাম বাড়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কোরবানির বাজারে। অতিরিক্ত খরচ ও অতি আদরে পালিত পশুর সঠিক দাম হচ্ছেনা, হাটে পশুর যে দাম উঠছে তাতে লোকসানের শঙ্কা রয়েছে বলে বিক্রেতা পক্ষ জানিয়েছেন ।হাটে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ছোট-বড় নানা আকারের গরু ও ছাগল আনা হয়েছে। বেলকুচিতে কুরবানির পশুর হাট প্রথমদিন তেমন ক্রেতার আগমন দেখা যায়নি। যারা আসছেন, তারা শুধু দেখেই চলে যাচ্ছেন। গরু কিনে রাখার মতো জায়গা না থাকা এবং পশুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় পরে কিনবেন বলে জানা যায়।