1. admin@vorersongbad.com : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন  নিউজ পোর্টাল "দৈনিক ভোরের সংবাদ" এ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে আগ্রহীরা সিভি পাঠিয়ে দিন আমাদের ই–মেইলেঃ vorersongbad21@gmail.com মোবাইল নাম্বারঃ 01777602610/01779208393
শিরোনাম :
হাটপাঙ্গাসীতে রাস্তার বেহাল দশায় বিএনপির আয়োজনে এলাকাবাসীর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে শিবিরের লগি বৈঠার নির্যাতনে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জের পাঙ্গাসীতে রাস্তার মধ্যে মাটি কেটে বেড়া দেওয়ায় পথচারীদের ভোগান্তির অভিযোগ  সলঙ্গায় যুবদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প রায়গঞ্জে দিনব্যাপী অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জ পিপুলবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর বকুল হত্যার বিচার আজও পায়নি তার পরিবার সিরাজগঞ্জে উদ্বোধন হলো শহীদ জিয়া একক সংঘ ক্লাব সিরাজগঞ্জে একতার বন্ধন সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর বৃক্ষ রোপন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থী সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের অবৈধ নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল 

তাড়াশে চায়না-দুয়ারির ফাঁদে ধ্বংস দেশীয় প্রজাতির মাছ

স্টাফ রিপোর্টার*
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৯৬ বার পঠিত

তাড়াশে চায়না-দুয়ারির ফাঁদে ধ্বংস দেশীয় প্রজাতির মাছ

স্টাফ রিপোর্টার :-(তাড়াশ সিরাজ গন্জ)

বর্ষাকাল মানেই পানিতে চারদিক থৈ থৈ। খালে-বিলে বর্ষার নতুন পানিতে দেখা মেলে দেশীয় প্রজাতির নানান জাতের মাছ। এ বর্ষাতেও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খালে-বিলে তেমন দেখা মিলছে না দেশীয় প্রজাতির মাছের৷ খাল, বিলে কারেন্ট জালের পাশাপাশি চায়না দুয়ারি নামের একপ্রকার ফাঁদ ব্যবহার করে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করে চলছে এক শ্রেণির অসাধু মাছ শিকারিরা। এ ফাঁদের কারণে খালে-বিলগুলো দিন দিন মাছশূন্য হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ মৎস্যজীবীদের। মৎস্যবিশেষজ্ঞদের মতে, এটা চাঁই বা কারেন্ট জালের চেয়েও ভয়ঙ্কর এক ফাঁদ।
জানা যায়, এ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকাই খাল-বিলের দখলে। বর্ষা হলেই এসব খাল-বিল পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আর সেসময় নতুন পানিতে দেশীয় প্রজাতির নানান জাতের মাছ ধরতো মৎস্য শিকারিরা। গত ১০ বছর আগেও এ উপজেলায় মাছ ধরার জন্য দেশীয় ফাঁদ ব্যবহার করা হতো। ছাই, ফলো, ঠেলা জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ শিকারে গেলে মাছ কমে যাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল মাছের বংশ বিস্তার নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অসাধু শিকারিরা নিজেদের খাওয়া ও বিক্রির জন্য কারেন্ট জাল এবং চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার করা এক মৎস্য শিকারি জানান, এ জালে যেকোনো মাছের পাশাপাশি সাপ, ব্যাঙসহ অন্যান্য জলজ  প্রাণী ধরা দেয়। খালে-বিলে নতুন পানি আসলেই তারা এ জাল ব্যবহার করেন বলেও জানান তিনি।
সূত্রমতে, কয়েক দশক আগেও এ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় আড়াইশ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ ছিল। মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতায় এসব মাছের অনেক প্রজাতি এখন আর চোখে পড়ে না। বর্ষা মৌসুমে নদী, খাল ও বিল থেকে কারেন্ট জাল দিয়ে ব্যাপক হারে ডিমওয়ালা মাছ ধরার কারণে দেশি মিঠা পানির মাছের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা মোঃ আব্দুল মোমেন মন্ডল জানান, গত ১০-১৫ বছর আগেও মাছ ধরার ছাই ব্যবহার করে ২-৩ ঘণ্টায় যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেতো তা দিয়ে দুইবার তরকারি খাওয়া যেতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে খালে বিলে মাছই নেই। কারেন্ট জাল ও চায়না জালে সব মাছ ধরা পড়ে যায়৷ ফলে মাছের বংশ বৃদ্ধিই হচ্ছে না।
তাড়াশ উপজেলার শিক্ষা অনুরাগী মোঃ আমজাদ মোল্লা  বলেন, বিভিন্ন কারণেই দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে। এরমধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে মানুষের সচেতনতার অভাবও রয়েছে। হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছ রক্ষায় এখন ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  জানান, এ উপজেলায় গভীর খাল-বিলের সংখ্যা কম। এছাড়া শুকনো মৌসুমে এগুলোতে পানি না থাকায় দেশি প্রজাতির মাছ কমে যাওয়ার একটি কারণ৷
অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের ব্যাপারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে এগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "দৈনিক ভোরের সংবাদ"
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park