চাঁদপাল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি
আসিফ ইকবাল সুমনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লিটন হোসেন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৩নং বহুলী ইউনিয়নের চাঁদপাল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) আসিফ ইকবাল সুমনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ক্লিনিকে অনুপস্থিতি, ঔষধ বিতরনে অনিয়ম, রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া, হাজিরা খাতা না থাকা, ভুয়া রোগী, ল্যাপটপ অকার্যকর, পানির ট্যাংক নষ্ট, অফিস শেষে স্টোর রুমে তালা না দেওয়াসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে সিএইচসিপি সুমনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বারবার মৌখিকভাবে অবহিত করেও কোন উন্নতি না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ চিকিৎসাসেবা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। ক্লিনিকগুলো থেকে রোগীদের মধ্যে সপ্তাহে ছয় দিন প্রায় ২৭ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত আসিফ ইকবাল সুমনের নিজ এলাকায় আলমপুর বাজারে নিজস্ব ওষুধের দোকান থাকায় নিয়মিত অফিসে আসতে পারেন না বলে একাধিকসূত্রে জানা গেছে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত সপ্তাহে ছয়দিন খোলা রাখার বিধান থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দেধার্চে নিজের মতো করে অফিস চালাচ্ছেন সিএইচসিপি সুমন। এতে করে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না গ্রামীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হতদরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত গরীব মানুষেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান, এই হাসপাতালের ভালো ভালো ওষুধ তার দোকানে নিয়ে বিক্রি করে থাকে। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ লিখিত আকারে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেউ সাহস পায় না। অফিসে নিয়মিত আসেন না। আসলেও ঘন্টা খানিক থেকে চলে যায়।
চাঁদপাল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) আসিফ ইকবাল সুমন জানান, তালাটি নষ্ট অনেকদিন ধরে। চাহিদা অনুযায়ী পাইনা। আমার ল্যাপটপ নষ্ট আমার হাজিরা খাতা দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া সব ঠিকঠাক আছে। অফিসে আমি না থাকে হেলথ সহকারি থাকেন। তবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কিছু মানুষ আছে তারাই এ ধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম হীরা জানান, সার্বিক বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়েল ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আ.ফ.ম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি। তবে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।