মোঃ মুনছুর হেলাল, নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাঁসী ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত কালিন্জা ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতী নদী। এই ইছামতী নদীর সাথে আরেকটি নদী সংযুক্ত ছিলো যেই নদীকে বলা হয় মরা নদী । এই মরা নদীর পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মিল,ফ্যাক্টরী, গার্মেন্টস সহ তাতঁ শিল্পের সূতার প্রসেস মিল । তাতঁ শিল্পের পঁচা পানি এসে পড়তো মরা নদীতে । এই নদীটি শুকানো অবস্থায় আছে যার কারণে তাতঁ শিল্পের পঁচা পনি গড়ে এসে ইছামতী নদীতে পড়ে । কালিন্জা সহ আশেপাশের কয়েক এলাকার মানুষ এই নদীতে গোসল সহ ক্ষেতে খামারে পানি দেন । জানা গেছে অনেকেই এই নদীতে গোসল করলে অসুস্থ সহ শরীরে দেখা দিয়েছে নানা রকম রোগ । এমনকি এই বিষাক্ত পানীর কারনে কোন মাছ পর্যন্ত নদীতে থাকতে পারে না, সব মাছ মরে যায় । এক সময় ইছামতি নদীর খুব স্রোত ছিলো এবং এই নদীর তীরে অবস্থিত কালিন্জা বাজারে ইছামতি নদীর মাছের খুব কদর ছিলো । দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতো কালিন্জা বাজারে নদীর মাছ কেনার জন্য । ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত কালিন্জা হাওয়ালদার পাড়ার জেলেরা অনেক খুশি ছিলো । ইছামতি নদীতে মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো । কালিন্জা বাজারের নাম ডাক ছিলো অনেক, কিন্তু কালের বিবর্তনে কোথায় যে হারিয়ে গেছে কালিন্জা বাজারের সেই নদীর মাছ । এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন করে নদী খনন প্রকল্প কাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । ইছামতি নদী খননের কাজ দেখে কালিন্জা সহ আশেপাশে কয়েক এলাকার লোকজন স্বস্তি অনুভব করছেন এবং খুশি হয়েছেন। পাশাপাশি জেলেদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি । আবার হয়তো কালিন্জা বাজারে পাওয়া যাবে টাটকা নদীর মাছ এমন আশা করছেন কালিন্জা বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা সহ অনেকেই ।